২২ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪২ পূর্বাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শনিবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাবুগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বরিশালের বাবুগঞ্জে খাল ও পুকুরের মধ্যে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করাছেন একটি চক্র।
এর ফলে বসতবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা ধসে যাচ্ছে এবং হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ।
স্থানীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এসব ড্রেজার দিয়ে গ্রামাঞ্চলের খাল, বিল ও পুকুর থেকে যত্রতত্র ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করায় আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী। বছরের পর বছর ধরে ড্রেজার মালিকরা এ অবৈধ কাজটি করলেও প্রশাসনের কোনো ভূমিকা নেই।
জানা গেছে, ড্রেজার দিয়ে উত্তোলনকৃত বালুর বেশিরভাগই স্থানীয় ঠিকাদাররা তাদের নির্মাণ কাজে ব্যবহার করে। সড়ক ও সরকারি স্থাপনার মেঝে ভরাট করা হচ্ছে এ বালু দিয়ে। ভূগর্ভস্থ এ বালুতে কাদামাটির পরিমাণ বেশি থাকে। ফলে মাটি মিশ্রিত এ বালু দিয়ে তৈরি সড়ক ও স্থাপনা টেকসই না হওয়ায় প্রতিবছর সরকারের উন্নয়ন কাজের কোটি কোটি টাকা গচ্চা যাচ্ছে। তাছাড়া কম খরচে ও সহজ পদ্ধতিতে বালু পাওয়ায় ঠিকাদারদের পাশাপাশি বসতবাড়ি নির্মাণেও অনেকে পরিবেশ বিধ্বংসী এই ড্রেজার ব্যবহার করছে।
এলাকাবাসী বিভিন্ন সময় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের বিষয়টি জানালেও তা কোনো কাজে আসছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এভাবে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের কাজ চলমান রয়েছে। অবৈধ মেশিনগুলোর মালিকরা ঘুরে ঘুরে গ্রামের পরিত্যক্ত খাল, ডোবা ও পুকুর থেকে বালু উত্তোলন করছে।
উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের লাফাদি ও ফুলতলার মাঝামাঝি গাইনার খালে অবৈধ ড্রেজার বসিয়েছেন স্থানীয় হিরা ও মন্টু নামের দুই ব্যক্তি বালু উত্তোলন করছে।
এছাড়াও একই ইউনিয়নের পাংশা গ্রামের হায়দার আলীর পুকুর থেকে স্থানীয় কাজী পারভেজের নেতৃত্বে একটি চক্র বালু উত্তোলন করছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকিতে রয়েছে সরকারি সড়কসহ বহু স্থাপনা।
এবিষয়ে কাজী পারভেজ কে বালু উত্তোলনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বালু উত্তোলনের বিষয়ে তিনি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন আমি কারো ড্রেজার দরকার হইলে ড্রেজার সরবরাহ করি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তারা মেশিনপত্র নিয়ে গ্রামের আনাচে কানাছে ছুঁটে যাচ্ছে ড্রেজার মালিক-শ্রমিকরা।
সম্প্রতি এসব ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে বিভিন্ন এলাকায় সড়ক ও বতসবাড়ি দেবে যাওয়ার বেশ কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে মাধবপাশা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সিদ্দিকুর রহমান জানান, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন। বিষয়টি জেনে তিনি খুব শীগ্রই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাবুগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)মোঃ মিজানুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।